itech.com

TECH DOCTOR

শুক্রবার, ২ জুন, ২০১৭

জুবায়েরের যত অ্যাপস

   
   



জুবায়েরের যত অ্যাপস
জুবায়ের হোসেনের তৈরি অ্যাপস এনবিআর ব্যবহার করছে। অ্যাপস আছে তাঁর সিএনজি অটোরিকশার মিটার চুরি রোধেও। শেয়ার বিক্রির সবচেয়ে ভালো সময় জানার জন্যও অ্যাপস আছে তাঁর। এই অ্যাপসগুলোর গল্প শোনাচ্ছেন Aryan Maruf


১. টপ টিউব


এই অ্যাপস এর মূল ফিচার হচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন গান এনালাইসিস করে সেরা গানগুলোকে আলাদা করা। এছাড়া ল্যাংগুয়েজ বেজড ফিল্টারিং আছে। যার মাধ্যমে আজকের দিনে সেরা বাংলা, হিন্দি, ইংলিশ, এরাবিক গানগুলো খুঁজে বের করা যাবে। ধীরে ধীরে সব ভাষাতেই এই ফিল্টারিং চালু করা হবে।  
অ্যাপস এ যে প্লেয়ারটি ইউজ করা হয়েছে এটি খুবই হালকা এবং ফার্স্ট। আর টপ অব দ্য উইক ফিচার আছে যেখানে সপ্তাহের সেরা গান দেখতে পাবেন। এছাড়া পছন্দের গান সেভ করে রাখা যাবে। অ্যাপসটি প্রতি ১২ ঘন্টায় ভার্চুয়াল ব্রেইন এর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সেরা ১০ টি গান বাছাই করে।

 


২. সিএনজি মিটার


মূল ফিচারগুলো দেখে নিনঃ
★ অ্যাপটিতে রয়েছে ভাড়া হিসাব করার ক্যালকুলেটর। কত কিঃমিঃ যাত্রা করেছেন সেটার ভিত্তিতে নিজেই দেখে নিন আপনার ভাড়া কত হয়েছে।

★ অ্যাপটিতে রয়েছে গুগল ম্যাপ (জিপিএস) ক্যালকুলেটর। সিএনজিতে চড়ে জিপিএস ক্যালকুলেটরটি “START” করে দিন। নামার সময় দেখে নিন কত কিঃমিঃ যাত্রা করেছেন এবং ভাড়া কত হয়েছে। এটি আপনার যাত্রাপথকে অসংখ্য বিন্দুর মাধ্যমে উপস্থাপন করবে এবং আপনার চলার পথকে লাইভ উপস্থাপন করবে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে যেটি Travel, Tour, Adventure বা অন্য যেকোন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।

★ স্বয়ংক্রিয় এ জিপিএস ক্যালকুলেটর ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে সক্ষম। ম্যাপের মাধ্যমে দূরত্ব নির্ধারণের সময়সীমার মধ্যেও স্মার্টফোনে আপনি সকল কাজ করতে পারবেন।

★ যদি কোন সিএনজি চালক অসদুপায় গ্রহন করে বা মিটারে যেতে রাজি না হয়, জাস্ট একটা ক্লিকের মাধ্যমেই অভিযোগ দায়ের করুন যথাযথ কত্রিপক্ষের কাছে।

বিঃদ্রঃ গুগল ম্যাপের মাধ্যমে দূরত্ব মাপার কৌশল আপনার নেটওয়ার্ক, জিপিএস এর প্রকৃতি ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। 100% সঠিক হিসাব পেতে অ্যানালগ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো!

** ভি পি এন বা প্রক্সি সার্ভার ইউজ করলে আপনার লোকেশান থেকে দূরত্ব নির্ণয় একটু কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে অ্যাপটি ফেইল করতে পারে। মোবাইল রিস্টার্ট দিয়ে পুনরায় চেষ্টা করে দেখুন।

★★★★★★★★★★★★★★★★

"START" বাটুনে ক্লিক করলে যদি অ্যাপ ফেইল করে তাহলে আপনার লোকেশান সেটিং এ যানঃ
Go to  "Setting" -- "Location"
-set your location mode in "High Accuracy"
তাহলে কাজ করবে।

৩. ভ্যাট চেকার



প্রতিদিন রেস্টুরেন্টে খাওয়া, সুপারশপ বা বড় বড় ব্র্যান্ডের দোকানে কেনাকাটা করতে যাই। আমাদের কেনা প্রত্যেক জিনিসের উপর কিন্তু ভ্যাট রাখা হয়। এটি আমাদের সার্ভিস যে দিচ্ছে, তার উপর আরোপকৃত কর। ১৫ টাকার কোকাকোলা যখন রেস্তরাঁয় ২০ টাকা দিয়ে খাওয়া হয়, তখন এমনিতেই ৫ টাকা ভ্যাট হিসেবে আমরা দেই। এটি অন্তর্ভুক্ত থাকে রেস্তরাঁ, সুপারশপ, হোটেলে। কিন্তু আমাদের দেওয়া এই ভ্যাট আদৌ সরকারের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা, সেটিই দেখার বিষয়। আর এই জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়, যাকে আমরা BIN বলি। পুরো অর্থ Business Identification Number.

এই বিন নিয়ম অনুযায়ী ১১ ডিজিটের। তবে ২০১২ এর আগে রেজিস্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠানে ১০ ডিজিট ছিল, যাদের ১১ ডিজিট নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অনেকেই নতুন BIN এখনো নেয়নি। এরা অবশ্যই অন্যায় করছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের এখনো ৯ ডিজিট, ৮ ডিজিট BIN রয়েছে। যা রাজস্ব বোর্ড থেকে অনুমোদিত নয়। এরা ঠিকই ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট নিচ্ছে, কিন্তু সরকারকে দিচ্ছে না। এদের কে ধরিয়ে দেওয়া আমাদের মত সাধারণ জনগণেরই দায়িত্ব।
National Reveunue Board (NBR) এর ওয়েবসাইটে BIN status বলে একটি ঘরে আপনাকে দেওয়া বিলের কাগজের উপর ছাপান ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নং প্রবেশ করিয়ে, আপনি নিজেই চেক করতে পারেন প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট অনুমোদনকৃত কি না।

যদি প্রতিষ্ঠানের নাম আসে, তাহলে তা বৈধ। আর নো রেজাল্ট ফাউন্ড আসলে, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাটের জন্য বৈধ নয়। সে ক্ষেত্রে ওই রেস্টুরেন্ট বা সুপারশপের নিয়ন্ত্রণাধিন কমিশনারেটের কাছে অভিযোগ করতে হবে।

ঢাকা পশ্চিমের মূসক নিবন্ধন নম্বর ১৭ (dhakawestcomm@yahoo.com), ঢাকা উত্তর ১৮ (commdkn@nbr.gov.bd, commdkn@yahoo.com) ঢাকা দক্ষিণ ১৯ (cevdhksouth@yahoo.com), ঢাকা পূর্ব ২১ (vatdhakaeast@yahoo.com), রংপুর ১১ (rangpurvat@nbr.gov.bd), রাজশাহী ১২ (cevraj93@yahoo.com), যশোর ১৪ (jessorecustoms@gmail.com), খুলনা ১৫ (khulnavathq@gmail.com), সিলেট ২২ (sylhetcustoms@yahoo.com), কুমিল্লা ২৩ (cevccomilla@nbr.gov.bd) এবং চট্টগ্রাম ২৪(ccevatctg@gmail.com) দিয়ে শুরু হয়েছে। মূসক নিবন্ধন নম্বরের প্রথম দুই ডিজিট দেখে বুঝে নিন প্রতিষ্ঠানটি কোন কমিশনারেটের অন্তভূর্ক্ত।

কোন রেস্তরাঁয় খেতে গেলে বা সুপারশপে গেলে এতোগুলো ই-মেইল ঠিকানা মনে রাখা সম্ভব না। সেই অসুবিধা নিরসনে ৩ তরুণ প্রোগ্রামার জুবায়ের, তুর্য, নিশান তৈরি করেছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। বিলের রিসিট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি বিল দেওয়ার আগে, এই অ্যাপ থেকে সহজেই ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বারটি চেক করা যাবে। যদি ভুয়া হয়, তৎক্ষণাৎ আপ থেকে আপনি পেয়ে যাবেন অভিযোগ ফর্ম। রিসিটের ছবিসহ আপনি অভিযোগ করতে পারবেন নিয়ন্ত্রণকারী কমিশনারেকে।

এভাবেই একটি অ্যাপ দিয়ে আপনি বাঁচাতে পারেন সরকারের টাকা, প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে।



৪. ডিএসই  এর্লাম


আপনি বা আপনার পরিবার যদি শেয়ার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকেন তাহলে প্লিজ রিকমেন্ড করবেন।
“ডিএসই অ্যালার্ম” অ্যাপটি রিয়েল টাইম প্রাইস অ্যালার্ম দেয়। কোন কোম্পানির শেয়ার কত দামে কিনতে বা বেচতে চান সেটা শুধু অ্যাপকে বলে দিতে হবে। অ্যালার্ম দিয়ে জানিয়ে দিবে। আর সেই সাথে কয়টি শেয়ার কতো দামে কিনছেন বা বিক্রি করতেছেন সব হিসাব রাখা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।
অ্যাপটিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। আরো দ্রুত আর নিখুঁত প্রোগ্রাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
সেলফি, হ্যশট্যাগ আর কুল ড্যুড দের ভিড়ে আমাদের কিছু কাজ হয়তো হারিয়ে যায়, যেতে চায়...
তাও সামনে নিয়ে আসি। সবার দৃষ্টিতে আনার ট্রাই করি। কে জানে হয়তো এভাবেই বেরিয়ে আসবে অনেক ভালো কোন সল্যুশন যেটা বদলে দেবে দেশ




কোন মন্তব্য নেই:

Adbox